আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের আইসিটি ক্লাবের উদ্যোগে অত্র বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং প্রশিক্ষণ ২০২৫ আয়োজন করা হয় (রমযানের ছুটির সময়)।
Saturday, April 26, 2025
Sunday, May 17, 2020
আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যাল
শেখ রাসেল অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতা ২০২২
আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়
আইসিটি ক্লাবের সদস্য নির্বাচন পরীক্ষা-২০২২ এর ফলাফল। [ নির্বাচিত সদস্যদের সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের নিকট থেকে সদস্যপদ লাভের ফরম সংগ্রহ ও জমাদান করতে হবে। ফরম জমাদানের পূর্বে নিচের লিংকের গুগল ফরমটি পূরণ করতে হবে।
ফরম লিংক: ICT Club Online Registration Form-2022
[প্রত্যেকের নিজস্ব জিমেইল ঠিকানা থাকতে হবে এবং ফরম পূরণে তা ব্যবহার করতে হবে। ]
আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের ত নং অ্যাসাইনমেন্ট:
আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম- দশম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রী ও এসএসসি-২০২২এর পরীক্ষাথী ছাত্র-ছাত্রীরা, নিচে সংযুক্ত নমুনা অনুসরণ করে আইসিটি ব্যবহারিক কাজ নিজ নিজ ব্যবহারিক খাতায় সম্পন্ন করবে। ডাউনলোড লিংক: ৯ম-১০ম-আইসিটি-ব্যবহারিক-ম্যানুয়াল
সুপ্রিয় ৫ম -১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা আমার সকল অনলাইন লাইভ ক্লাস এখন থেকে ZOOM এর মাধ্যমে হবে। আমার ZOOM Meeting ID: 777 6121 8977 পাসওয়ার্ড: 123456
প্রিয় শিক্ষার্থী এবং সম্মানিত অভিভাবক, আপনার স্মার্ট ফোন অথবা, ল্যাপটপে Zoom অ্যাপসটি ইনস্টল করবেন। মোবাইলের গুগল Play store থেকে Zoom অ্যাপসটি ইনস্টল করতে পারবেন। ল্যাপটপে যেকোনো ব্রাউজার: গুগলক্রোম/মজিলা ফায়ারফক্স ওপেন করে সার্চ বক্সে Zoom লিখে সার্চ দিলে জুম এর অফিসিয়াল সাইট খেকে জুম সফটওয়্যারটি ইনস্টল করতে পারবেন। অবশ্য এই কাজ করার জন্য ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন হবে। লাইভ ক্লাস নিশ্চিত করার জন্য আপনার মোবাইল ফোন বা, ল্যাপটপে ক্লাস চলাকালীন সময়ে ইন্টারনেট সংযোগ সক্রিয় রাখতে হবে। এ জন্য পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে রাখবেন।
প্রয়োজনে আমার সাথে যোগাযোগ করবেন। মোবাইল: ০১৭৪৬৬৮১৮৬০
আমার কিছু ছবি:
|
||||
Saturday, May 2, 2020
Chapter 01 Model Answers on ICT for class Eight / JSC Examinee
Dear students who are in class Eight, Please Read the model answers Carefully and practice yourself
অধ্যায়-০১
১ নং প্রশ্নের উত্তর
EPOS:
EPOS: Electronic Point of Sell (EPOS) হলো এমন একটি ব্যবস্থা যার মাধ্যমে বিক্রয়ের সকল তথ্য সংরক্ষণ করা যায়। ফলে সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের সুযোগ থাকে।
বিপণনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব:
বর্তমানে ব্যবসা করতে হলে পণ্যের বিপণন ও প্রচারে আইসিটির ব্যবহার করতে হয়।
পণ্যের বিপণন ও প্রচারে আইসিটি নি¤œলিখিত ভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
১। পণ্যের বাজার বিশ্লেষণ:
যেকোন নতুন পণ্য বা সেবা বাজারে চালু করার পূর্বে এ বিষয়ে বর্তমান বাজার সম্পর্কে জানার প্রয়োজন। আইসিটির সাহায্যে এই সকল কাজ দ্রæততার সঙ্গে করা সম্ভব।
২। প্রতিদ্ব›দ্বীদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ:
আইসিটির সাহায্যে প্রতিদ্ব›দ্বী পণ্য ও সেবা সম্পর্কে সহজে তথ্য সংগ্রহ করা যায়।
৩। পণ্য সরবরাহ:
জিপিএস বা অনুরুপ ব্যবস্থাদির মাধ্যমে কম খরচে পণ্য সরবরাহের পরিকল্পনা করা যায়।
৪। পণ্যের প্রচার:
ওয়েবসাইট, বøগ কিংবা সামাজিক যোগাযোগের সাইটের মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে এবং কখনো কখনো বিনামূল্যে পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপন প্রচার করা যায়।
প্রশ্ন-০৩। টেলিমেডিসিন কী? চিকিৎসায় টেলিমেডিসিনের ভূমিকা বর্ণনা কর।
অথবা, টেলিমেডিসিন কী? চিকিৎসায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব বর্ণনা কর।৩ নং প্রশ্নের উত্তর
চিকিৎসায় আইসিটি প্রয়োগের ফলে চিকিৎসা ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটছে। যার ফলে টেলিমেডিসিন সেবা বা ই-স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠিত ও জনপ্রিয় হচ্ছে।
টেলিমেডিসিন:
টেলিমেডিসিন হলো টেলিফোন বা মোবাইল ফোনের সাহায্যে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ পদ্ধতি। এ ব্যবস্থায় পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে যে কেউ যেকোনো সমস্যায় টেলিফোন বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে পারে এবং চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পারে। বর্তমানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ পদ্ধতি চালু হয়েছে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ১৬২৬৩ নম্বরে ডায়াল করে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করা যায়। দেশের জেলা উপজেলা পর্যায়ে টেলিমেডিসিন চিকিৎসা সেবা জনপ্রিয় হচ্ছে।
ই-স্বাস্থ্য সেবা:
ই-স্বাস্থ্য সেবা হচ্ছে অনলাইন নির্ভর স্বাস্থ্যসেবা যেখানে মোবাইল ফোনের সাহায্যে মৌখিকভাবে কথা বলে বা লিখিত ভাবে এসএমএস পাঠিয়ে রোগীদের বিভিন্ন রোগের তাৎক্ষণিক প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করা যায়। ই-স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র কে ই-সেবা কেন্দ্র বা টেলিমেডিসিন সেবা কেন্দ্র বলা হয়। এই ই-সেবা কেন্দ্র থেকে জনগণের নিকট বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিষয়ক বার্তা পৌঁছে দেওয়া যায়। যেমন:
-বিভিন্ন রোগের কারণ ও সতর্কতা বিষয়ক বার্তা।
-বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা কেন্দ্রের তথ্য ও ঠিকানা বিষয়ক বার্তা।
-বর্তমানে রেডিও ও টেলিভিশন চ্যানেল গুলো নিয়মিত স্বাস্থ্য বিষয়ক অনুষ্ঠান প্রচার করে থাকে।
-বিভিন্ন ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপস্, সামাজিক নেটওয়ার্ক সাইট, ইউটিউব ইত্যাদি থেকে স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন সেবা পাওয়া যায়।
রোগ নির্ণয়:নিখুঁতভাবে রোগ নির্ণয়ে ডাক্তারগণ রোগীর বিভিন্ন মেডিকেল টেস্ট যেমন: এক্স-রে, সিটি
স্ক্যান, আলট্রাসনোগ্রাম, ইসিজি, বøাড টেস্ট
ইত্যাদি সম্পন্ন করতে কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকেন।
ঔষধ নির্বাচন:
বর্তমানে অনেক ডাক্তারই নিখুঁতভাবে রোগ নির্ণয় ও সঠিকভাবে উক্ত রোগের ঔষধ নির্বাচনে
কম্পিউটার এবং কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা সম্মৃদ্ধ
সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকেন।
রোগীর তথ্য সংরক্ষণ:
বর্তমানে অনেক হাসপাতাল ও ডাক্তারগণ রোগীর ব্যক্তিগত তথ্য, স্বাস্থ্যগত তথ্য, রোগ
সংশ্লিষ্ট তথ্য, প্রেসক্রিপশন ইত্যাদি কম্পিউটারে বা ডেটাবেজ সফটওয়্যারে সংরক্ষণ করে
থাকেন এবং প্রয়োজনে সরবরাহ/ব্যবহার করে থাকেন।
হাসপাতাল ও ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনায় :
হাসপাতাল ও ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনায় কম্পিউটার ও বিভিন্ন ধরণের সফটওয়্যার ব্যবহৃত
হচ্ছে।
টিকাদান কর্মসূচি:
শিশুদের রোগ প্রতিরোধ বিষয়ক টিকাদান কর্মসূচির তথ্য প্রচার ও বাস্তবায়নে তথ্য প্রযুক্তি
ব্যবহৃত হচ্ছে।
রোগ ও ঔষধ বিষয়ে গবেষণা:
বিভিন্ন রোগ নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা, ঔষধ প্রস্তুতকরণ, ঔষধের মান নিয়ন্ত্রণ
ইত্যাদিতে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে।
অপারেশন পরিচালনা:
অপারেশন থিয়েটারে রোগীর অপারেশন পরিচালনা করতে সার্জনরা এখন তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার
করে থাকেন। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে
এখন দূরে থেকেও অপারেশন পরিচালনা করতে পারেন।
প্রশ্ন-০৪। ব্যবসায়ে আইসিটির গুরুত কী? ব্যবসায়ে খরচ কমাতে আইসিটির ভূমিকা বর্ণনা কর।
৪ নং প্রশ্নের উত্তর
ব্যবসায়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব:
জীবনের অন্য সকল ক্ষেত্রের মতো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বা আইসিটির প্রয়োগে ব্যবসা-বাণিজ্যে আমূল পরিবর্তনের সূচনা করেছে। যেকোনো ব্যবসার মূল উদ্দেশ্য থাকে কম সময়ে এবং কম খরচে পণ্য বা সেবা উৎপাদন করা এবং দ্রুততম সময়ে ভোক্তার কাছে পৌছে দেওয়া। পণের জন্য কাঁচামাল সংগ্রহ থেকে শুরু করে উৎপাদনের কাজে নিয়োজিত কর্মীদের ব্যবস্থাপনা, তাদের দক্ষতার মান উন্নয়ন, উৎপাদন ব্যবস্থাপনা, বিপণন এবং সবশেষে পণ্য বা সেবার বিনিময় মূল্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে আইসিটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। সাধারণভাবে আইসিটি প্রয়োগের ফলে ব্যবসায় নানাবিধ সুবিধা অর্জিত হয়। এছাড়াও আইসিটি খরচ কমাতে সাহায্য করে। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে কম সময়ে অধিক কাজ করা যায়। ফলে ব্যবসার খরচ হ্রাস পায় । এতে ব্যবসায়ী একদিকে কম খরচে তার পণ্য বিক্রয় করতে পারে, অন্যদিকে মুনাফাও বাড়াতে পারে ।
আইসিটির সাহায্যে ব্যবসায়ে খরচ কমানোর অনেকগুলো উপায় রয়েছে:
১। মজুদ নিয়ন্ত্রণ:
ব্যবসার একটি বড় খরচ হলো পণ্যের মজুদ। বাজার চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে মজুদ নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। বিশেষায়িত সফটওয়্যার কৌশল ব্যবহারের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় মজুদের হালনাগাদ তথ্য জানা যায়।
২। উৎপাদন ব্যবস্থাপনা:
তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির প্রয়োগে উৎপাদন ব্যবস্থার প্রভূত উন্নতি করা সম্ভব। উৎপাদন স্বয়ংক্রিয়করণসহ আইসিটি নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হলে কম সময়ে অধিক উৎপাদন করা যায়। তখন উৎপাদন খরচ হ্রাস পায়। তাছাড়াও কর্মী ব্যবস্থাপনায় তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়েগে উৎপাদন গতিশীলতা আনতে সক্ষম হয়।
৩। সঠিক হিসাব রাখা:
ব্যবসার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো সঠিক হিসাব সংরক্ষণ করা। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা সাধারণ স্প্রেডর্শিট সফটওয়্যার যেমন: মাইক্রোসফট এক্সেল ২০০৭/২০১০/২০১৬ ব্যবহার করেই তাদের ব্যবসা হিসাব সংরক্ষণ করতে পারেন। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ডাটাবেস সংটওয়্যার যেমন: মাইক্রোসফট একসেস, ওরাকল, এসকিউএল ইত্যাদি ব্যবহার করে পণ্যর মজুদ, কর্মীদের তথ্যবিলি, এমনকি শ্রাহকদের তথ্যাবলি ও সংরক্ষণ করা যায়। এই তথ্যাদির কৌশলী প্রয়োগ ভবিষ্যতে ব্যবসার উন্নতিতে ব্যবহার করা যায়।
৪। বিক্রয় ব্যবস্থাপনা ও হিসাব:
ইলেক্ট্রনিক পয়েন্ট অব সেল (ঊচঙঝ) হলো এমন একটি ব্যবস্থা যার মাধ্যমে বিক্রয়ের সকল তথ্য সংরক্ষণ করা যায়। এতে সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের সুযোগ থাকে।
৫। মূল্য সংগ্রহ:
আইসিটি প্রয়োগের মাধ্যমে ব্যবসায়ীগণ তাদের পণ্যের মূল্য সরাসরি নিজের ব্যাংক হিসাবে সংগ্রহ করতে পারে। ক্রেড্রিট বা ডেবিট কার্ড কিংবা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিক্রেতা তার পণ্য বা সেবার মূল্য ক্রেতার হিসাব থেকে সরাসরি নিজের হিসাবে স্থানান্তর করতে পারে ।
৬। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা:
মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট, স্যাটেলাইটসহ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রধান প্রধান উপকরণ যোগাযোগ ব্যবস্থাকে দ্রুত কার্যকরী করে তুলেছে।
প্রশ্ন-০৫। যোগাযোগের পদ্ধতি কয়টি ও কী কী? যোগাযোগের ক্ষেত্রে আইসিটির অবদান বর্ণনা কর।
৫ নং প্রশ্নের উত্তর
একে অন্যের সাথে বিভিন্ন উপায়ে তথ্য আদান প্রদান করাকে যোগাযোগ বলে। যোগাযোগ করার পদ্ধতিকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়:
১। একমুখী যোগাযোগ:
যখন একজন ব্যক্তি বা একটি প্রতিষ্ঠান অনেকের কাছে শুধু তথ্য পাঠায় এবং যাদের কাছে তথ্য পাঠায় তারা শুধু তথ্য গ্রহণ করতে পারে তখন এই ধরণের যোগাযোগ করার পদ্ধতিকে একমুখী যোগাযোগ বলে। একমুখী যোগাযোগকে ইংরেজিতে ব্রডকাস্ট বলে। যেমন: রেডিও, টেলিভিশন ইত্যাদি একমুখী পদ্ধতিতে যোগাযোগ করে থাকে। টেলিভিশন সম্প্রচার কেন্দ্র থেকে কোন অনুষ্ঠান প্রচার করলে তা আমাদের বাড়ির টেলিভিশন শুধু সেটি গ্রহণ করে থাকে। টলিভিশন কোন তথ্য সম্প্রচার কেন্দ্রে পাঠাতে পারে না।
২। দ্বিমুখী যোগাযোগ:
যে যোগাযোগ পদ্ধতিতে দুজন ব্যক্তি পরস্পরের সাথে একই সাথে তথ্য পাঠাতে পারে ও তথ্য গ্রহণ করতে পারে তাকে দ্বিমুখী যোগাযোগ বলে। যেমন: মোবাইল ফোন ব্যবহার করে আমরা অন্যের সাথে কথা বলতে পারি এবং অন্যের কথাও শুনতে পারি। তাই মোবাইল যোগাযোগ কে দ্বিমুখী যোগাযোগ বলা যায়।
যোগাযোগের ক্ষেত্রে আইসিটির অবদান:
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রধান প্রধান উপকরণ যেমন: মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট, স্যাটেলাইটসহ যোগাযোগ ব্যবস্থাকে দ্রুত কার্যকরী করে তুলেছে।
মোবাইল ফোন: মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যেকোনো স্থান থেকে যোগাযোগ করা সহজ হয়। ফলে চলতে ফিরতে কিংবা ঘরে বসেও ব্যবসা যোগাযোগ রক্ষা করা যায়। মোবাইল ফোনের কনফারেন্স সুবিধার মাধ্যমে একই সময়ে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলা যায় এমনকি ছবিও দেখা যায়। ফলে এ কাজ সম্পন্ন করা যায়।
ফ্যাক্স: ফ্যাক্সের মাধ্যমে জরুরি লিখিত তথ্য ও ছবি তাৎক্ষণিকভাবে প্রেরণ করা যায়। যে সব দেশে ব্যবসার লেনদেনের ক্ষেত্রে ক্রেতা বা বিক্রেতার স্বাক্ষরের প্রয়োাজন, সেখানে ফ্যাক্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ইমেইল: ই-মেইল ব্যবসার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর মাধ্যমে দ্রুততার সঙ্গে লিখিত যোগাযোগ করা যায়। এমনকি পণ্যের ছবি ক্রেতার কাছে পাঠানো যায়। পণ্য সম্পর্কে অন্য কোনো ক্রেতা মূল্যায়ন যদি ইন্টারনেটে প্রকাশিত হয়ে থাকে, তাহলে সেটির লিংকও পাঠানো
যায়।
ইন্টারনেট: ইন্টারনেটের মাধ্যমে পণ্যসেবার খবর সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দেওয়া যায়। এক্ষেত্রে ওয়েবসাইট, বøগ, ইউটিউব, সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, লিংকড-ইন ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
ইন্ট্রানেট: অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন দপ্তর ভৌগলিকভাবে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। এসব ক্ষেত্রে নিজেদের মধ্যে সংস্থাপিত ইন্ট্রানেট ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রভূত উন্নতি সাধন করে থাকে।
স্যাটেলাইট: স্যাটেলাইট প্রযুক্তি যোগাযোগ ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি সাধন করেছে। এটি তারবিহীন যোগাযোগের পথ প্রশস্ত করেছে। স্যাটেলাইট প্রযুক্তিকে ইনফরমেশন সুপার হাইওয়ে বলে।
অপটিক্যাল ফাইবার: অপটিক্যাল ফাইবার প্রযুক্তি যোগাযোগ ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি সাধন করেছে। এর ভিতর দিয়ে বিপুল পরিমাণ তথ্য আলোর গতিতে পাঠানো যায় বলে একে ইনফরমেশন সুপার হাইওয়ে বলে।
প্রশ্ন-০৬। সরকারের সাধারণ কার্যক্রমগুলো কী কী? সরকারি কর্মকাÐে আইসিটির কয়েকটি ব্যবহার বর্ণনা কর।
৬ নং প্রশ্নের উত্তর
সরকারের সাধারণ কার্যক্রমসমূহ:রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ হলো সরকার। সরকারের সাধারণ কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে:
-দেশের জনগণের জন্য নিরাপদ, সৃজনশীল কর্মসংস্থান এর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
-দেশের মানুকে দারিদ্র্য থেকে মুক্ত করার জন্য নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করা ।
-আইন ও নীতি প্রণয়ন এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও সংস্থার মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করা।
-আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নিজ দেশকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করা।
-এই সকল কর্মকান্ড বাস্তবায়নের জন্য সরকার দেশের মধ্যে কর ও শুল্ক আদায়, বিদেশ থেকে অনুদান ও ঋণের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে এবং বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে পরিকল্পনাসমূহ বাস্তবায়ন করে। প্রয়োজনে বেসরকারি সংস্থা বা ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
সরকারি সকল কাজেই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োগ রয়েছে। এখানে কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করা হলো:
১। সরকারি তথ্যাদি প্রকাশ:
ইন্টারনেটের বিকাশের আগে সরকারি বিভিন্ন তথ্য যেমন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, দরপত্র প্রকাশ, বিভিন্ন প্রকার আদেশ ইত্যাদি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নোটিশ বোর্ডে এবং কখনো কখনো বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হতো।। ফলে সর্বসাধারণের পক্ষে সরকারের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা কিংবা নিয়মকানুন জানা সম্ভব হতো না। বর্তমানে ওয়েবসাইট বা পোর্টালের মাধ্যমে এই সকল তথ্য সরাসরি জনগণের কাছে পেীছে দেওয়া যায়। বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় ওয়েব পোর্টাল ঠিকানা হলো: www.bangladesh.gov.bd
২। আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন ও সংশোধন:
বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের নীতিমালা, আইন ইত্যাদি প্রণয়ন এবং সংশোধন এর ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বর্তমানে সংশ্লিষ্ট দপ্তর জনগণের মতামত গ্রহণ করতে পারে। এছাড়াও কল সেন্টারের মাধ্যমে জনগণের যে অংশ ই-মেইলে অভ্যস্ত নয়, তাদের মতামত নেওয়া যায়।
সরকার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জনগণের এক বিরাট অংশকে সরাসরি কোনো বার্তা পৌছাতে পারে। বাংলাদেশে প্রায় ১২ কোটি লোকের কাছে মোবাইল ফোন রয়েছে। সরকারি কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা মোবাইল ফোনের Short Message Service (SMS) বা ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে সরাসরি ঐ সকল ব্যক্তির কাছে পৌছে দেওয়া যায়।
৪। জনগণের দোরগোড়ায় সরকারি সেবা:
সরকারি কর্মকান্ডে আইসিটির সবচেয়ে উদ্ভাবনী ও কুশলী প্রয়োগ হলো জনগণের কাছে নাগরিক সেবা পৌছে দেওয়া। মোবাইল ফোন, রেডিও, টেলিভিশন এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে নাগরিক সেবাসমূহ সরাসরি নাগরিকের দোরগোড়ায় এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে তার হাতের মুঠোয় পৌছে দেওয়া যায়। এ সেবা গুলোর মধ্যে কতিপয় নি¤েœ উল্লেখ করা হলো:
মোবাইল ফোন বা অনলাইনে
-ই-বুক, ই-পর্চা, ই-পূর্জি, ই-স্বাস্থ্য সেবা, ই-কমার্স সেবা প্রাপ্তি।
-কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন করা ও ভর্তি সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্যাবলি জানা যায়।
-পাবলিক পরীক্ষার (পিইসি, জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি) ফলাফল জানা যায়।
-পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ইন্টারনেট বিল পরিশোধ করা যায়।
-পাসপোর্ট প্রাপ্তি, আয়কর প্রদান, টাকা স্থানান্তর ইত্যাদি কাজ সম্পাদন করা যায়।
-বাস, ট্রেন ও বিমানের টিকেট ক্রয় করা যায়।
Thursday, April 30, 2020
Tips for Teachers professional developments
Easy ways to make your questions Bank !!!
See the following videos on techniques for Apps information copying into word file part-01, 02
Part-01:
Part -02
See the following videos on techniques for copying PDF files from Apps to your Computer
Subscribe to:
Posts (Atom)
Latest post:
Tips for Teachers professional developments
Easy ways to make your questions Bank !!! See the following videos on techniques for Apps information copying into word file part-01, 0...
Most Popular posts
-
Easy ways to make your questions Bank !!! See the following videos on techniques for Apps information copying into word file part-01, 0...
-
Dear students who are in class Eight, Please Read the model answers Carefully and practice yourself অধ্যায়-০১ প্রশ্ন-০১। EPOS কী? ব...
-
আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যাল শেখ রাসেল অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতা ২০২২ এখানে ক্লিক করে অংশগ্রহণের নিয়মাবলি ও প্রশ্নাবলী ডাউনলোড...
-
আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের আইসিটি ক্লাবের উদ্যোগে অত্র বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে কম্পিউটার প্রোগ্রামি...